ভারতের জাতীয় আন্দোলন | Indian National Movement

ভারতের জাতীয় আন্দোলন (Indian National Movement)

ভারতের জাতীয় কংগ্রেস : ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে ২৮-৩০ ডিসেম্বর বােম্বাইয়ের গােকুলদাস তেজপাল সংস্কৃত কলেজের হলে কলকাতার বিশিষ্ট আইনজীবী উমেশচন্দ্র ব্যানার্জির সভাপতিত্বে ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশন বসে। এই অধিবেশনে ৭২জন প্রতিনিধি যােগ দেন। ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দে এর দ্বিতীয় অধিবেশন বসে কলকাতায়। ১৮৮৫-১৯০৫ পর্যন্ত সময়কে বলা হয় নরমপন্থী যুগ। এরপর চরমপন্থীদের প্রভাব প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯১৮-১৯৪৭ পর্যন্ত সময়কে বলে গান্ধীর যুগ।
   ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা কংগ্রেস অধিবেশনে প্রথম \’স্বরাজ’ কথাটি ব্যবহার করা হয়।   কংগ্রেসের নরমপন্থী নেতাদের মধ্যে উল্লেখযােগ্য ছিলেন দাদাভাই নৌরজী, কে. টি. তেলাং, গােখলে, ফিরােজশাহ মেহতা, এ. এম. ধরমজী, বদরুদ্দীন তায়েবজি, উমেশচন্দ্র ব্যানার্জী, জর্জ ইউল, আনন্দ চারলু, আলপেড ওয়েব, সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জি, রহমতউল্লা সাহানি, শ্ৰীশঙ্করণ আইয়ার, আনন্দমােহন বসু, দিনশা ওয়াচা, রাসবিহারী ঘােষ, লালমােহন ঘােষ, হেনরি কটন প্রমুখ।   কংগ্রেসের চরমপন্থী নেতাদের মধ্যে উল্লেখযােগ্য ছিলেন কে, কে, মিত্র, ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায়, সতীশচন্দ্র মুখার্জি, পুলিনবিহারী দাশ, বিপিনচন্দ্র পাল, রাসবিহারী বসু, অপূর্বকুমার ঘােষ, রজনীকান্ত সেন, অশ্বিনী কুমার দত্ত, ঘােরপাড়ে, বিষ্ণুশাস্ত্রী চিপলঙ্কার, বালগঙ্গাধর তিলক, লালা লাজপত রায়, অরবিন্দ ঘােষ, অজিত সিং, চিদাম্বরম পিল্লাই, টি. প্রকাশন, এম. কৃষ্ণারাও প্রমুখ।বালগঙ্গাধর তিলক (১৮৫৬-১৯২০) : ইনি লােকমান্য নামে পরিচিত। ব্রিটিশ সাংবাদিক ভ্যালেন্টাইন চিরল তিলককে বলেছেন ভারতের অস্থিরতার জনক। ১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি গণপতি উৎসব, ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দে শিবাজি উৎসব, ১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দে নাে ট্যাস্ ক্যামপেন চালু করেন মহারাষ্ট্রে। ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দে তাঁকে ১৮ মাস বন্দী করে রাখা হয়। ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে তাকে ৬ বছর মান্দালয়ের জেলে পাঠান হয়।
বঙ্গভঙ্গ ও স্বদেশী আন্দোলন : ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের ১৯ জুলাই লর্ড কার্জন বঙ্গভঙ্গের পরিকল্পনা ঘােষণা করেন ও ১৬ অক্টোবর বঙ্গভঙ্গ কার্যকর করা হয়। ঢাকা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিভাগ, রাজশাহী বিভাগ, পার্বত্য ত্রিপুরা, মালদহ জেলা ও দার্জিলিং নিয়ে গঠিত হয় পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশ। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও উড়িষ্যা নিয়ে গঠিত হয় বাংলা প্রদেশ। পূর্বের রাজধানী হয় ঢাকা ও পশ্চিমের রাজধানী হয় কলকাতা। ১৯০৩ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গভঙ্গের জন্য রিজলি পরিকল্পনা প্রকাশিত হয়। কিন্তু জনগণের বিরােধিতায় এটি কার্যকর হয়নি।
   ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের ৬ই জুলাই কৃষ্ণকুমার মিত্র সঞ্জীবনী পত্রিকায় বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে লেখেন বঙ্গের সর্বনাশ’ শিরােনামে। ১ অক্টোবর বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে সারা দেশে হরতাল পালিত হয়। রবীন্দ্রনাথ ১৬ অক্টোবর রাখি বন্ধন উৎসব করেন ও বাংলার মাটি, বাংলার জল’ গানটি লেখেন। রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী এই দিনটিতে অরন্ধন পালনের ডাক দেন। আনন্দমােহন বসুর সভাপতিত্বে উভয় বাংলায় ঐক্যের প্রতীক হিসাবে আপার সার্কুলার রােডে ‘মিলনমন্দির’ বা ফেডারেশন হল স্থাপিত হয়। ওই দিনে বাগবাজারে পশুপতি বসুর বাড়িতে জাতীয় ধনভান্ডার’ প্রতিষ্ঠা করা হয়।   ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের ১৩ জুলাই সঞ্জীবনী পত্রিকায় বয়কটের ডাক দেওয়া হয় এবং ২০ জুলাই এই পত্রিকাতে বয়কটের একটি প্রতিজ্ঞাপত্র প্রকাশিত হয়। ১৬ জুলাই খুলনার বাগেরহাট জনসভায় প্রথম বয়কটের প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়।
   স্বদেশী আন্দোলন ছিল বয়কটের পরিপূরক। আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় বেঙ্গল কেমিক্যাল স্থাপন করেন। নীলরতন সরকার জাতীয় সাবান কারখানা স্থাপন করেন। কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হয় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ। জামশেদজী টাটা জামশেদপুরে লৌহ-ইস্পাত কারখানা স্থাপন করেন। সরলাদেবী চৌধুরানি লক্ষ্মীর ভান্ডার’ স্থাপন করেন। মাদ্রাজে চিদাম্বরম পিল্লাই স্বদেশী জাহাজ কারখানা স্থাপন করেন। বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন থেকে ছাত্রদলকে সরিয়ে আনার জন্য কার্লাইল সার্কুলার ১০ অক্টোবর ১৯০৫, লিয়ন সার্কুলার ১৬ অক্টোবর ১৯০৫, পেডলার সার্কুলার ২১ অক্টোবর ১৯০৫ জারি করা হয়। এইসব সার্কুলারের বিরুদ্ধে। ছাত্রনেতা শচীন্দ্রনাথ বসু কলকাতায় অ্যান্টি সার্কুলার সােসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দের ১১ মার্চ সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সভাপতিত্বে জাতীয় শিক্ষা পরিষদ গঠিত হয় ৯২ জন সদস্য নিয়ে। ১৪ আগস্ট বেঙ্গল ন্যাশনাল স্কুল ও কলেজ স্থাপিত হয় ও কারিগরি শিক্ষার জন্য বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইনসটিটিউশন গঠিত হয়। ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গভঙ্গ রদ করেন লর্ড হার্ডিঞ্জ। বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের প্রধান স্লোগান ছিল \’বন্দেমাতরম্\’। রবীন্দ্রনাথ আত্মশক্তির ধারণা দেন। এই সময় বিখ্যাত চারণ কবি ছিলেন মুকুন্দ দাস।
সুরাট বিভাজন : ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে গুজরাটের সুরাটে কংগ্রেসের বার্ষিক অধিবেশন অনুষ্ঠিত হওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এই অধিবেশনে সভাপতি নির্বাচিত হন নরমপন্থী রাসবিহারী ঘােষ। অপরদিকে চরমপন্থীরা লালা লাজপত রায়কে কংগ্রেসের সভাপতি মনােনীত করেন। ২৭ ডিসেম্বর অধিবেশন স্থগিতের জন্য তিলক চেষ্টা করলে সংবর্ধনা কমিটির সভাপতি মদনমােহন মালব্য সেটি বাতিল করে দেন। অধিবেশনে মারাঠি চপ্পল ছুঁড়ে মারার ঘটনা ঘটে ও সুরেন্দ্রনাথের গায়ে লাগলে অধিবেশন ভেস্তে যায়। এরফলে কংগ্রেসের নরমপন্থী ও চরমপন্থীরা ভাগ হয়ে যান। কংগ্রেসের এই অধিবেশন হওয়ার কথা ছিল নাগপুরে কিন্তু ফিরােজ শাহ মেহেতা সুরাটে নিয়ে যান। এই অধিবেশনে ফিরােহশাহ মেহতার গায়েও জুতাে লাগে। এরপর ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে কংগ্রেসের লক্ষৌ অধিবেশনে চরমপন্থী ও নরমপন্থী মিলন ঘটে।হােমরুল আন্দোলন : আয়ারল্যান্ডের রেমন্ডস এর হােমরুল লীগের অনুকরণে ভারতে হােমরুল আন্দোলন শুরু হয়। ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে সেপ্টেম্বর মাসে শ্রীমতি অ্যানি বেসান্ত হােমরুল লীগ স্থাপন করেন। তার সঙ্গে ছিলেন জর্জ অরানডেল। এন. সি. কেলকারকে সম্পাদক নিয়ােগ করে তিলক ইন্ডিয়ান হােমরুল লীগ স্থাপন করেন। জি এস খার্পাদে, বি. এস. মুঞ্জে, আর. পি. কারানধিকর এর সদস্য হন। তিলক মহারাষ্ট্র, বােম্বাই, কর্ণাটক, সেন্ট্রাল প্রভিন্স এবং বেরারে দুটি শাখা নিয়ে মােট ৬টি শাখা প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে কংগ্রেসের লক্ষৌ অধিবেশনে তিলক ও অ্যানি বেসান্তকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। কংগ্রেস সভাপতি অম্বিকাচরণ মজুমদার তাদের উপর আক্রমণের তীব্র নিন্দা করেন। কংগ্রেস ও হােমরুল লীগ এক সঙ্গে মিশে যায় মদনমােহন মালব্যের বিরােধিতা সত্ত্বেও।   কানাডা ও অষ্ট্রেলিয়াতে হােমরুল আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। নিউইয়র্ক ও সানফ্রানসিসকোতে হােমরুল লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। লাজপত রায়, এন. এইচ. হার্দিকর এবং কে. ডি. শাস্ত্রী আমেরিকা পরিদর্শনে যান।
১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে তিলক ৮৬ দিন আমেরিকার বিভিন্ন হােমরুল লীগ শাখাতে পরিভ্রমণ করেন। তিনি আমেরিকার ২০টি প্রদেশে যান ও ২৫টি সভা করেন। ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে অ্যানি বেসান্তকে মাদ্রাজ সরকার গ্রেপ্তার করে। তার প্রতি সম্মানার্থে ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা কংগ্রেসে তাকে সভাপতি নির্বাচন করা হয়।
• রাজনৈতিক ও জাতীয় প্রতিষ্ঠানের তালিকা-

প্রতিষ্ঠান স্থান সময় প্রতিষ্ঠাতা
1. বঙ্গভাষা প্রকাশিত সভা কলকাতা ১৮৩৬ কালিনাথ রায়চৌধুরী ও দ্বারকানাথ ঠাকুর
2 জমিদার সভা কলকাতা ১৮৩৭ দ্বারকানাথ ঠাকুর ও রাধাকান্ত দেব
3. ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সােসাইটি লন্ডন ১৮৩৯ উইলিয়াম অ্যাডাম
4. বেঙ্গল ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সােসাইটি কলকাতা ১৮৪৩
5. ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান অ্যাসােসিয়েশন কলকাতা ১৮৫১ দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
6. মাদ্রাজ নেটিভ অ্যাসােসিয়েশন। মাদ্রাজ ১৮৫২
7. বম্বে অ্যাসােসিয়েশন মুম্বাই ১৮৫২ জগন্নাথ শঙ্কর
৪. ইস্ট ইন্ডিয়া অ্যাসােসিয়েশন লন্ডন ১৮৬৬ দাদাভাই নৌরজি
9. লন্ডন ইন্ডিয়া কমিটি লন্ডন ১৮৬২ সি. পি. মুদালিয়ার
10. ন্যাশনাল ইন্ডিয়ান অ্যাসােসিয়েশন লন্ডন ১৮৬৭ মেরী কার্পেন্টার (রামমােহনের জীবনীকার)
11. পুনা সার্বজনিক পুনা ১৮৭০ চিপলঙ্কার, জি.ভি,
12. ইন্ডিয়ান সােসাইটি লন্ডন ১৮৭২ আনন্দমােহন বসু
13. ইন্ডিয়ান লীগ কলকাতা ১৮৭৫ হেমন্ত কুমার ঘােষ, শিশিরকুমার ঘােষ
14. ভারত সভা কলকাতা ১৮৭৬ সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জি, আনন্দমােহন বসু
15. ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কনফারেন্স কলকাতা ১৮৮৩ আইয়ার, বীর রাঘবচারী ও আনন্দ চালু
16. বম্বে প্রেসিডেন্সি অ্যাসােসিয়েশন মুম্বাই ১৮৮৫ ফিরােজ শাহ মেহেতা, কে, টি. তেলাং, বদরুদ্দীন তায়েবজি (এদের বলা হত ত্রিমূর্তি)
17. সার্ভেন্টস অফ ইন্ডিয়া সােসাইটি মুম্বাই ১৯০৫ গােখলে
18. কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া তাসখন্দ ১৯২০ এম, এন, রায়
19. অল ইন্ডিয়া কমিউনিস্ট পার্টি কানপুর ১৯২৫ সত্য ভকত
20. স্বরাজ পার্টি দিল্লী ১৯২৩ সি. আর. দাশ, মতিলাল নেহেরু
21. লেবার স্বরাজ পার্টি কলকাতা ১৯২৮ কাজি নজরুল ইসলাম
22. খুদাই খিদমগার পেশােয়ার ১৯২৯ খান আবদুল গফফর খান
23. প্রােগ্রেসিভ রাইটার্স গ্রুপ লক্ষৌ ১৯৩৬ মুন্সী প্রেমৰ্চাদ
24. ইন্ডিয়া পার্টি বলশেভিক কলকাতা ১৯৩৯ এন. ডি. মজুমদার
24. ফরওয়ার্ড ব্লক কলকাতা ১৯৩৯ সুভাষচন্দ্র বসু
26. র্যাডিক্যাল ডেমােক্র্যাটিক পার্টি কলকাতা ১৯৪০ এম, এন, রায়
27. ইন্ডিয়া বলশেভিক লেনিন পার্টি কলকাতা ১৯৪১ অজিত রায় ও ইন্দ্র সেন
28. রিভলিউশনারি সােসালিস্ট পার্টি (RSP) কলকাতা ১৯৪২ সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর

• জাতীয় কংগ্রেসের অধিবেশনের তথ্য সংক্রান্ত তালিকা :

সাল স্থান সভাপতি মন্তব্য
১৮৮৫ মুম্বাই উমেশচন্দ্র ব্যানার্জি ৭২ জন প্রতিনিধি
১৮৮৬ কলকতা দাদাভাই নৌরােজি ৪৩৬ জন প্রতিনিধি
১৮৮৭ মাদ্রাজ বদরুদ্দিন তায়েবজি প্রথম মুসলিম সভাপতি
১৮৮৮ এলাহাবাদ জর্জ ইয়ুল প্রথম ইংরেজ সভাপতি
১৮৮৯ মুম্বাই স্যার উইলিয়াম ওয়েডারবার্ণ ১৮৮৯ জন প্রতিনিধি
১৮৯০ কলকাতা ফিরােজ শাহ মেহেতা
১৮৯২ এলাহাবাদ উমেশচন্দ্র ব্যানার্জি
১৮৯৩ লাহাের দাদাভাই নৌরােজি
১৮৯৪ মাদ্রাজ আলফ্রেড ওয়েব।
১৮৯৫ পুনা সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জি
১৮৯৬ কলকাতা রহিমতুল্লা সাহানি
১৮৯৭ অমরাবতি এম. শঙ্করণ নায়ার
১৮৯৮ মাদ্রাজ আনন্দমােহন বসু
১৮৯৯ লখনৌ রমেশচন্দ্র দত্ত ১৮৮৯ জন প্রতিনিধি
১৯০০ লাহাের এন, জি, চন্দ্রভারকর
১৯০১ কলকাতা দিনশাওয়াচা
১৯০২ আমেদাবাদ সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জি
১৯০৩ মাদ্রাজ লালমােহন ঘােষ
১৯০৪ মুম্বাই স্যার হেনরি কটন
১৯০৫ বেনারস গােখলে
১৯০৬ কলকাতা দাদাভাই নৌরজি
১৯০৭ সুরাট রাসবিহারী ঘােষ
১৯০৮ মাদ্রাজ রাসবিহারী ঘােষ
১৯০৯ লাহাের মদনমােহন মালব্য
১৯১০ এলাহাবাদ স্যার উইলিয়াম ওয়েডারবার্ণ।
১৯১১ কলকাতা বিষাণ নারায়ণ ধর
১৯১২ পাটনা আর. এন. মাধলকর
১৯১৩ করাচি সঈদ মহম্মদ বাহাদুর
১৯১৪ মাদ্রাজ ভূপেন্দ্রনাথ বসু
১৯১৫ মুম্বাই স্যার এস. পি. সিনহা
১৯১৬ লখনৌ এ. সি. মজুমদার নরমপন্থী ও চরমপন্থী মিলন
১৯১৭ কলকাতা অ্যানি বেসান্ত প্রথম মহিলা সভাপতি
১৯১৮ মুম্বাই (বিশেষ) সঈদ হাসান ইমাম ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লিবারল ফেডারেশন গঠন হয় সুরেন্দ্রনাথের নেতৃত্বে।
১৯১৮ দিল্লী মদন মােহন মালব্য সুরেন্দ্রনাথের কংগ্রেস ত্যাগ।
১৯১৯ অমৃতসর। মতিলাল নেহেরু
১৯২০ কলকাতা (বিশেষ) লালা লাজপত রায়
১৯২০ নাগপুর বিজয় রাঘব চাবিয়ার কংগ্রেসের সংবিধান পরিবর্তন
১৯২১ আমেদাবাদ হাকিম আজমল খান (অস্থায়ী সভাপতি) সভাপতি সি. আর. দাস জেলে
১৯২২ গয়া সি আর দাশ স্বরাজ দল গঠন
১৯২৩ দিল্লী (বিশেষ) আবুল কালাম আজাদ সবচেয়ে কম বয়সের সভাপতি
১৯২৩ কঁকিনাড়া মৌলানা মহম্মদ আলি
১৯২৪ বেলগাঁও গান্ধি
১৯২৫ কানপুর সরােজিনী নাইডু প্রথম ভারতীয় মহিলা।
১৯২৬ গৌহাটি শ্রীনিবাস আয়েঙ্গার
১৯২৭ মাদ্রাজ এম. এ. আনসারি জওহরলাল নেহরুর চাপে স্বাধীনতার প্রস্তাব পাশ
১৯২৮ কলকাতা মতিলাল নেহেরু প্রথম সারা ভারত যুব কংগ্রেস
১৯২৯ লাহাের। জওহরলাল নেহেরু পূর্ণস্বরাজ দাবি
১৯৩০ লাহাের জওহরলাল নেহেরু
১৯৩১ করাচি বল্লভভাই প্যাটেল প্রথম মৌলিক অধিকার, জাতীয় অর্থনৈতিক নীতি প্রস্তাব
১৯৩২ দিল্লী আর. ডি. অমৃতলাল
১৯৩৩ কলকাতা মিসেস নেলি সেনগুপ্ত
১৯৩৪ মুম্বাই রাজেন্দ্র প্রসাদ কংগ্রেস সােসালিস্ট দল গঠন
১৯৩৫ মুম্বাই রাজেন্দ্র প্রসাদ
১৯৩৬ লক্ষ্ণৌ জহরলাল নেহেরু
১৯৩৭ ফইজপুর জওহরলাল নেহেরু প্রথম গ্রামে অধিবেশন
১৯৩৮ হরিপুরা সুভাষচন্দ্র বসু
১৯৩৯ ত্রিপুরী সুভাষচন্দ্র বসু নেতাজির পদত্যাগে রাজেন্দ্র প্রসাদ সভাপতি হন,  প্রথম কংগ্রেস নির্বাচন, ফরওয়ার্ড ব্লক গঠন
১৯৪০ রামগড় আবুল কালাম আজাদ
১৯৪১-৪৫ রামগড় আবুল কালাম আজাদ
১৯৪৬ মিরাট জে. বি. কৃপালনি
১৯৪৭ দিল্লী রাজেন্দ্র প্রসাদ ভারতের স্বাধীনতা পর্যন্ত সভাপতি

Leave a Comment

Scroll to Top