পরিবেশ ও মানুষ | ভারতের আঞ্চলিক ভূগোল || Environment and People | Regional Geography of India
পরিবেশ ও মানুষ
• মূলত শক্তিনির্ভর বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে মানুষ বিগত কয়েকশতাব্দীতে বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্য লাভ করেছে। কৃষির প্রসার, শিল্পোন্নয়ন, রােগজীবানুর প্রতিষেধক আবিষ্কারের সাথে সাথে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথে জড়িয়ে থাকা নানা বিষয়ও রয়েছে এর মধ্যে। কিন্তু পৃথিবীর বিপুল জনসংখ্যার চাপ ও তাদের সীমাহীন ক্রমবর্ধমান চাহিদার সাথে পাল্লা দিতে গিয়ে মানুষ চাপ দিচ্ছে পরিবেশের উপর। যেমন, উদাহরণস্বরুপ বলা যায় যে, রাসায়নিক সার ও কীটনাশক দ্রব্য ব্যবহার করা হচ্ছে একটা জমিতে বারবার চাষ করে অত্যধিক ফলনের জন্য। ফলে কৃষিজমি ক্রমেই অনুর্বর হয়ে যাওয়ার কারণে আরও অতিরিক্ত রাসায়নিক ব্যবহার করা হচ্ছে অত্যধিক ফলন বৃদ্ধির জন্য। এই ধরনের রাসায়নিক দ্রব্যের বিষক্রিয়ায় এমন বিঘ্নিত হতে থাকছে বাস্তুতন্ত্রের সাধারণ রীতিনীতি এবং দূষিত হতে থাকছে মাটি এবং জল। একইসাথে বিলুপ্ত হতে বসেছে জল এবং মাটিতে অবস্থানকারী অসংখ্য ক্ষুদ্রজীব, যারা জীবমন্ডলকে খাদ্যশৃঙ্খলে বেঁধে রেখেছে।
প্রকৃতি তার নিজস্ব বাস্তুতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সমূহ ক্রমেই হারিয়ে ফেলছে সভ্যতার অগ্রগতি এবং শিল্পায়নের এই দৌড়ে। ভােগবাদী লালসা মানুষকে করে তুলেছে অবিবেচক। এই অবিবেচনার ফল হল জীবজগতের একটি বৃহৎ অংশের বিলুপ্তি। বিগত কয়েক দশক ধরে বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর মানুষকে খুব বৃহৎ আকারের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সতর্কবানী বলে আসছেন। এর ফলে পরিবেশ ও প্রকৃতি সম্পর্কে মানুষের সচেতনতা যে বাড়ছে না তা নয়। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিকভরে নানাধরণের সম্মেলন, বিভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা, চুক্তি ইত্যাদি পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয় বর্তমান সময়ে বহুচর্চিত। তবে বর্তমানের সাফল্য মােটেই কাঙ্খিত সাফল্যকে ছুঁতে পারেনি। পরিবেশ ও প্রকৃতির উপাদানসমূহকে বাঁচিয়ে রেখে সুস্থায়ী উন্নয়ন করাটা অত্যন্ত আবশ্যক। মানুষের সচেতন এবং সক্রিয় সহযােগিতা এজন্য প্রয়ােজন।
• পরিবেশের পরিবর্তনের কারণ হিসাবে মানুষের কার্যকলাপ : এই পৃথিবীতে মানুষের আবির্ভাবের পূর্বে বায়ু, জল, নানাপ্রকার ধাতব এবং অধাতব পদার্থের চক্রাকার গতিশীলতার ফলে বজায় থাকত একটি নির্দিষ্ট প্রাকৃতিক পরিবেশ। বায়ুতে N, Co., O, ইত্যাদি গ্যাসের মাত্রা নির্দিষ্ট থাকত। মানুষ যতদিন বন্য জীবনযাপন করত তখনও পরিবেশের পরিবর্তন মানুষ করতে শেখেনি, অর্থাৎ এই অবস্থা ছিল মানুষের আবির্ভাবের প্রথম দিকে। কিন্তু আগুনের ব্যবহার, খাদ্য উৎপাদন ও বাসস্থান তৈরী থেকে সভ্যতার অগ্রগতির সাথে সাথে শুরু হতে থাক পরিবেশের পরিবর্তন। জনসংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে পরিমাণ ও উৎকর্ষণত চাহিদা নিবৃত্তির জন্য মানুষ ক্রমে ক্রমে শেখে ধাতুর ব্যবহার এবং আহরণ করা শুরু করে নানাপ্রকার প্রাকৃতিক সম্পদ। এর ফলে প্রকৃতির স্বাভাবিক পরিবেশ প্রশ্ন চিহ্নের মুখে পড়ে যায়।
• মানুষের যে সকল কার্যকলাপের ফলে পরিবেশের ক্ষতিকর পরিবর্তন ঘটে চলেছে সেগুলি নিম্নরূপ : (ক) কলকারখানা এবং মােটরগাড়ি চালাতে অত্যধিক মাত্রায় জীবাশ্ম জ্বালানী ব্যবহৃত হচ্ছে। এজন্য বায়ুতে CO, এবং নাইট্রিক অক্সাইড জাতীয় দূষক গ্যাসের পরিমাণ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। (খ) ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার বাসস্থানের চাহিদার জন্য অধিক পরিমাণে বৃক্ষচ্ছেদনের ফলে বনজঙ্গলের অস্তিত্ব সঙ্কটের মুখে। (গ) অত্যধিক ফলনের আশায় কৃষিকাজে অধিক মাত্রায় রাসায়নিক সার এবং কীটনাশক ব্যবহার করার ফলে বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য বর্তমানে ভীষণভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। (ঘ) নানাধরনের জৈব বর্জ্যপদার্থ জলাশয়, নদী ইত্যাদিতে মিশ্রিত হওয়ার ফলে জলের বাস্তুতান্ত্রিক পরিবর্তন সাধিত হচ্ছে। পৃথিবীতে নানাধরনের জঞ্জাল এবং বর্জ্যের পরিমাণ ক্রমেই বাড়ছে। এদের ভেতর তেজস্ক্রিয় বর্জ্য পদার্থ অধিক মাত্রায় ক্ষতি ডেকে আনছে।
• ভারতের ঐতিহ্য ও পরিবেশ : বহুত্ববাদীতা (Pluralism) হল ভারতের বৈশিষ্ট্য। বহু ধর্ম, বর্ণ, ভাষা, সংস্কৃতি খাদ্যভ্যাস ইত্যাদির এক অদ্ভুত মিলন ক্ষেত্র হল এ দেশ । এই দেশে আর্য, অনার্য, মােঙ্গল, দ্রাবিড়, শক হুন, পাঠান, মােগল ইত্যাদি জাতির সংমিশ্রণ এক মিশ্র জাতি গােষ্ঠী গড়ে উঠেছে। সুমহান ঐতিহ্যমণ্ডিত এই দেশ ভারতবর্ষের পরিবেশ রক্ষার ইতিহাসও যথেষ্টই গর্বের। এর উদাহরণ আমরা প্রাচীন ভারতীয় ব্যবস্থায় পেয়ে থাকি। যেমন প্রাচীন বৈদিকযুগে ভারতবর্ষে বন্যপ্রাণী হত্যা নিষিদ্ধ ছিল ও তপােবনের আশেপাশে নির্ভয়ে নানাধরনের বন্যপ্রাণী ঘুরে বেড়াত। একজন সংস্কৃতিবান ও শিক্ষিত শাসক হিসাবে সম্রাট অশােক বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে গড়ে তােলেন অভয়ারণ্য, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য অনেক অভয়ারণ্য গড়ে তােলেন মধ্যযুগের ভারতবর্ষের অনেক রাজা। বেশ কিছু ধর্মীয় গ্রন্থে ময়ূর সাপ, গােরু, বানর ইত্যাদি হত্যা নিষিদ্ধ বলে বিধান দেওয়া হয়েছে। শুরু তাই নয় হিন্দু ধর্মে তাে এই সকল প্রাণীদের পূজা করার ব্যবস্থার বিধান রয়েছে। যেমন সাপের দেবী হিসাবে মনসা পূজা হত।
• পৃথিবীতে পরিবেশের ক্রম পরিবর্তনের ইতিহাস : আজ থেকে প্রায় কুড়ি লক্ষ বছর পূর্বে মানুষ কৃষিকাজ করতে শেখার পর থেকেই নিজের প্রয়ােজনে পরিবেশকে ব্যবহার করতে আরম্ভ করে। বন্যজীবজন্তুদের পােষ মানানাে, সেচের জন্য নদীতে বাধ তৈরী, অন্নসংস্থানের উদ্দেশ্যে কৃষিকাজ ও জমির উর্বরতা বৃদ্ধির জন্য কীটনাশক এবং সারের ব্যবহার আরম্ভ হল। বিকাশের এই গতি কিন্তু সময়ের সাপেক্ষে সুস্থায়ী হয়নি। কারণ প্রাকৃতিক সম্পদের ভাণ্ডার সীমিত। এই ভাণ্ডার ক্রমেই ফুরিয়ে আসতে থাকে এবং পরিবেশের উপর মানুষের বিভিন্ন কাকিলাপের ফলে সৃষ্ট দূষণের প্রভাবে মনুষ্যসভ্যতা আজ সংকটের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তাই এখনই মানুষের উচিত প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার সম্পর্কে যথাসম্ভব সংযত হওয়া, যার ফলে প্রকৃতির কোনরূপ ক্ষতিসাধন না হয় নানাপ্রকার প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার দীর্ঘস্থায়ী হয়।
• ভূমির ব্যবহার : উন্নত স্বাস্থ্যপরিষেবা এবং খাদ্যের জোগানের দরুণ পৃথিবীর জনসংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। আবার অপরদিক দিয়ে বলতে গেলে বলা যায় যে বুর্পিত এই জনসংখ্যার নানাপ্রকার চাহিদার সাথে পাল্লা দিতে গিয়ে নগরায়ন বা শিল্পায়ন এবং চাষ আবাদের জন্য বিস্তীর্ণ ভূমির প্রয়ােজন হয়ে পড়ছে। ফলস্বরূপ ঘটে চলেছে বাস্তুতন্ত্রের অস্বাভাবিক পরিবর্তন। অধিক মাত্রায় শিল্পায়ন ও জীবাশ্ম জ্বালানীর অধিক ব্যবহার এর কারণে নানাপ্রকার ভােগ্যদ্রব্যের চাহিদা মেটানাে সম্ভব হলেও সৃষ্টি হচ্ছে একপ্রকার আর্থসামাজিক বৈষম্যের। শহুরে জীবনের প্রতি আকৃষ্ট মানুষের গতি এখন গ্রাম থেকে শহরের দিকে চলে গেছে। এছাড়া গ্রাম এখন আস্তে আস্তে শহুরে নানাপ্রকার ভােগ্যদ্রব্যে এবং সুযােগ সুবিধায় পরিণত হচ্ছে। এর ফলে জমির ব্যবহার হয়ে উঠছে অনেক বেশি জটিল ও যান্ত্রিক। প্রকৃতির স্বাভাবিক ছন্দ এখন অনেকটাই উধাও। আর এর অবশ্যম্ভাবী পরিণতি হচেছ অত্যধিক হারে দূষণ, যার প্রভাব আবার উল্টো দিক দিয়ে পড়ছে মানুষের উপর।
• বস্তু সম্পদের ব্যবহার : সম্পদকে মূলতঃ দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। একটি হল বর সম্পদ ও অন্যটি হল মানব সম্পদ। প্রথমে আমরা বস্তু সম্পদের বিষয়ে আলােচনা করব। পৃথিবীতে বস্তু সম্পদ আবার দূধরনের। একটি চিরাচরিত ও অন্যটি অচিরাচরিত। তবে দুই ধরনের এই সম্পদই সীমিত। চিরাচরিত (Traditional) বলতে আমরা সেই ধরনের সম্পদ বুঝি যেগুলাে আমরা বহু বছর ধরে ব্যবহার করে আসছি এবং যার ব্যবহার খুবই আকছার ঘটে থাকে। যেমন উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে কালা সম্পদ থেকে সৃষ্ট তাপবিদ্যুৎ। এখানে কয়লা চিরাচরিত শক্তির উৎস হিসাবে সম্পদ রূপে ব্যবহৃত হচ্ছে। কিন্তু সূর্যালােক বা জলবিদ্যুৎ হল অচিরাচরিত শক্তির সম্পদ উৎস, এগুলির বর্তমান সময়ে খুব একটা চল নেই বা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সূর্যালােক অফুরন্ত। যদি এই সম্পদকে কাজে লাগিয়ে, মানুষ তার দৈনন্দিন কর্মে ব্যবহার করতে পারে তবে পৃথিবীর সীমিত বস্তু সম্পদের (যেমন কয়লা, পেট্রোলিয়াম ইত্যাদি) ভাণ্ডার বহুদিন পর্যন্ত অটুট রাখা সম্ভব হবে। এছাড়া মানুষ বিভিন্ন বস্তু সম্পদের অনেক অপচয়ও করে থাকে। এই অপচয় রােধের জন্য দুটো পদ্ধতি অবলম্বন করা যায়। একটি হল বাজার অর্থনীতির অমােঘ নিয়মে এই ধরনের সীমিত প্রাকৃতিক বস্তুগত সম্পদসমূহের দাম বৃদ্ধি করা, এর ফলে সাধারণ মানুষ \’অপচয় রােধেও পরিমিত ব্যবহার করতে সচেষ্ট হবে। অন্যদিকে আরাে একটি পন্থা অবলম্বন করা যায়। সেটি হল \’অচিরাচরিত শক্তিসম্পদের ব্যবহার বৃদ্ধি। যেমন সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে যদি মানুষ প্রাত্যহিক রান্নাবান্না করে নেয় তাহলে চিরাচরিত শক্তি সম্পদ রান্নার গ্যাসের ব্যবহার কমে যায়। এইভাবে আমরা সীমিত প্রাকৃতিক বস্তুসম্পদকে রক্ষা করতে পারি। আবার এই ধরনের চিরাচরিত প্রাকৃতিক সম্পদের অধিক ব্যবহারের ফলে পরিবেশের দূষণও বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ আমরা যদি চিরাচরিত প্রাকৃতিক বস্তু সম্পদের ব্যবহার কমাতে পারি তাহলে সেটির ব্যবহার থেকে সৃষ্ট পরিবেশ দূষণের হাত থেকে রেহাই পাব। যেমন পেট্রোলিয়ামের দ্বারা গাড়ির থেকে নির্গত ধোয়া পরিবেশ দূষণ ঘটায়। গাড়ি যদি সৌরশক্তি চালিত হয়ে থাকে তবে পরিবেশ দূষণের সম্ভাবনা থাকে না।
• মানবসম্পদের ব্যবহার : পরিবেশবিদ্যা পাঠের ক্ষেত্রে এবং পরিবেশের সচেতনতায় মানুষের ভূমিকার কথা অস্বীকার করা যায় না। মানুষ যখন বনে থাকত এবং শিকার ও ফলমূল সংগ্রহের মাধ্যমে জীবনধারণ করত তখন এ বিষয়ে মাথা ঘামানাের প্রয়ােজন ছিল না। কিন্তু সভ্যতার উন্নতির সাথে সাথে মানুষের জীবনধারণের নানাবিধ পরিবর্তনের ফলে মানুষের বিভিন্ন কাজকর্ম পরিবেশ দূষণের কারণ হয়ে উঠছে। তাই মানুষকে নিজের স্বার্থে নিজেকেই সচেতন হতে হবে। কারণ। এর সাথে মনুষ্য সভ্যতার স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে। অর্থাৎ মানুষকে যথেষ্ট শিক্ষিত হতে এবং পরিবেশ সচেতন হতে হবে। এখানে মানুষকে সম্পদ হিসাবে পরিগণিত করা হয়েছে। প্রকৃত সম্পদ মানুষ হয়ে উঠবে তখনই যখন মানুষ প্রকৃত অর্থে শিক্ষিত হয়ে উঠবে। প্রকৃত অর্থে শিক্ষা বলতে শুধুমাত্র পুঁথিগত বিদ্যা অর্জন নয়, পুঁথিগত বিদ্যা অর্জনের পাশাপাশি সেই বিদ্যার বাস্তব প্রয়ােগ ও সঠিক অর্থে পরিবেশ সচেতন হওয়া অত্যন্ত আবশ্যক। এই প্রসঙ্গে একটি উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। পলিথিন আমাদের পরিবেশের পক্ষে ক্ষতিকর। পলিথিন হল ইথিলিনের পলিমার যৌগ। এটি পরিবেশের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর কারণ এটি বায়াে ডিগ্রেডেবল (Biodegradabale) নয়। পলিথিন একবার পরিবেশে প্রবেশ করলে বহুদিন যাবৎ এটি অবিকৃত অবস্থায় পরিবেশে অবস্থান করে। এবং এটি অত্যন্ত বিষাক্ত(toxic), বিশেষ করে মাটি ও জলের পক্ষে। তাই মানুষের উচিত যতটা কম সম্ভব এটির ব্যবহার করা। এর পরিবর্ত হিসাবে পাটের বিভিন্ন সামগ্রী ব্যবহার করা যেতে পারে, কারণ পাট হল বায়ােডিগ্রেডেবল। এই বিষয়সমূহ প্রত্যেক মানুষের জানা উচিত এবং শুধু তাই নয় একই সাথে বাস্তবে যেন সে নিজে এবং তার কাছের ও দূরের মানুষজন যাতে বিষয়টি নিয়ে ওয়াকিবহাল থাকে সেদিকে দৃষ্টি রাখা উচিত। এইরকমভাবে পরিবেশসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গী ও তার যথাযথ বাস্তব প্রয়ােগই একমাত্র মানুষকে সম্পদ করে তুলতে পারে।
অধিক পরিমাণে প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার এর পরিণাম নিম্নরূপ হতে পারে :
1. প্রাকৃতিক সম্পদ মূলত জীবাশ্ম জ্বালানীর ভাণ্ডার ক্রমেই সারা। পৃথিবীতে শেষ হয়ে যাচ্ছে।
2. ফ্রিজ এবং এয়ারকন্ডিশান ও এই ধরণের অন্যান্য বৈদ্যুতিক সরঞ্জামসমূহের দ্বারা সৃষ্ট ক্লোরােফ্লুরােকার্বন (CFC) ওজোন হােল বা ওজোন গহ্বরের সৃষ্টি করছে। যার পরিণামে ত্বকের ক্যানসার সহ নানা ধরণের মারণব্যাধিতে মানুষ আক্রান্ত।
3. সারা পৃথিবীতেই বহুলাংশে জীববৈচিত্র্যের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। 4. সারা পৃথিবীতেই খরা, বন্যা, বাড়ঝা সহ নানাপ্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে।