রাজ্য প্রশাসন (State Executive)
1. রাজ্যপালের সাংবিধানিক পদমর্যাদাটি (Constitutional Status) লেখ।
উত্তর: রাজ্যের রাজ্যপাল হলেন একজন নিয়মতান্ত্রিক শাসকপ্রধান। মন্ত্রীসভার পরামর্শ মেনেই তাকে শাসনকার্য পরিচালনা করতে হয়। তবে সংবিধানে রাজ্যপালকে কয়েকটি স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে যা তাকে সাংবিধানিকভাবেই আবার শক্তিশালী করেছে।
2. রাজ্যপালের ক্ষমতাগুলিকে কটি শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়েছে?
উত্তর: সংবিধান অনুসারে রাজ্যপাল যে সব ক্ষমতা ভােগ করেন সেগুলিকে মােটামুটি পাঁচটি শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়েছে। যথা— (a) শাসনসংক্রান্ত ক্ষমতা, (b) আইনসংক্রান্ত সক্ষমতা, (c) অর্থসংক্রান্ত ক্ষমতা, (d) বিচারসংক্রান্ত ক্ষমতা এবং (e) স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা।
3. রাজ্যপালকে কি কি যােগ্যতাসম্পন্ন (Qualifications) হতে হয়?
উত্তর : রাজ্যপালকে রাষ্ট্রপতির পদপ্রার্থীর যােগ্যতাসম্পন্ন হতে হয়। রাজ্যপালের পদের জন্য যােগ্যতা এবং নিয়ােগের শর্তাদি সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, (a) তিনি ভারতীয় নাগরিক হবেন; (b) তার বয়স হবে কমপক্ষে ৩৫ বছর, (c) তিনি লােকসভা বা কোনাে বিধানসভার সদস্য থাকতে পারবেন না ; (d) তিনি কোনাে লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত থাকতে পারবেন না।
4. রাজ্যপালের শাসনসংক্রান্ত ক্ষমতাটি (Executive Power) লেখ।
উত্তর: সংবিধান অনুসারে রাজ্যের সকল প্রশাসনিক মতা রাজ্যপালের হাতে ন্যস্ত। রাজ্যপালের নামে রাজ্যের শাসনকার্য পরিচালিত হয়। তিনি স্বয়ং অথবা অধস্তন কর্মচারীদের মাধ্যমে তার শাসনসংক্রান্ত ক্ষমতাগুলি প্রয়ােগ করেন। তিনি প্রথমে রাজ্য বিধানসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা বা নেত্রীকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নিয়ােগ করেন। তারপর মুখ্যমন্ত্রীর সাথে পরামর্শ করে তিনি অন্যান্য মন্ত্রীদের নিয়ােগ করেন।
5. রাজ্যপালের আইনসংক্রান্ত ক্ষমতাটি (Legislative Power) ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : রাষ্ট্রপতি যেমন সংসদের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ, রাজ্যপালও তেমনি রাজ্যের আইনসভার অঙ্গ।