সমাস | বাংলা ব্যাকরণ

Contents hide
1 সমাস | বাংলা ব্যাকরণ | PDF
1.1 সমাস
1.1.3 সমাসের প্রকারভেদ

সমাস | বাংলা ব্যাকরণ | PDF

সমাস

সমাস কাকে বলে : একাধিক পদ মিলিত হয়ে একপদে পরিণত হওয়ার নামই সমাস। যেমন—রাজার পুত্র = রাজপুত্র।
উদাহরণে প্রদত্ত রাজপুত্র শব্দ বা পদটি ভেঙে রাজার পুত্র পদ দুটি পাওয়া গেল। অর্থাৎ এই একাধিক পদ মিলিত হয়েই ওপরের ‘রাজপুত্র’ পদটি গঠিত হয়েছে। এই মিলন-পদ্ধতিই সমাস। সমাস কথার অর্থ হল সংক্ষেপ।

সমাসের কয়েকটি পরিভাষার পরিচয়

সমস্যমান পদ : যে-কয়েকটি পদ মিলে সমাস হয়, তার প্রত্যেকটি পদকে বলে সমস্যমান পদ। ‘রাজপুত্র’ এই সমাসবদ্ধ পদে ‘রাজার’ ও ‘পুত্র’ এই দুটি সমস্যমান পদ।

সমস্তপদ : সমাস করে যে নতুন পদটি হয়, তাকে বলে সমস্তপদ। রাজপুত্র’ = সমস্তপদ।

ব্যাসবাক্য : যে-বাক্য বা বাক্যাংশ দিয়ে সমস্যমান পদগুলির অর্থ ব্যাখ্যা করা হয়, তাকে বলে ব্যাসবাক্য বা বিগ্রহবাক্য (ব্যাস, বিগ্রহ = বিশ্লেষণ) এখানে ‘রাজার পুত্র’ ব্যাসবাক্য বা বিগ্রহবাক্য।

পূর্বপদ : সমস্যমান পদগুলির প্রথমটির নাম পূর্বপদ। রাজার পূর্বপদ।

পরপদ বা উত্তরপদ : সমস্যমান পদগুলির শেষেরটির বা পরের পদটির নাম পরপদ বা উত্তরপদ। ‘পুত্র’ পরপদ বা উত্তরপদ (উত্তর = পরবর্তী)।

সমাস ও সন্ধির মধ্যে তুলনা 

সন্ধি সমাস
ক. সন্ধিতে সন্নিহিত ধ্বনিসমূহের মিলন ঘটে। ক. সমাসে অর্থসম্বন্ধযুক্ত একাধিক পদ একপদে পরিণত হয়।
খ. সন্ধির মিলন হল ধ্বনিগত। খ. সমাসের মিলন সেখানে পদগত।
গ. সন্ধিতে ধ্বনির মিলন ঘটে উচ্চবর্ণের ভিত্তিতে। গ. সমাসে পদের মিলন ঘটে অর্থের ভিত্তিতে।
ঘ. সন্ধিতে বিভক্তি লােপের বিষয়টি নেই। ঘ. সমাসে অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিভক্তিচিহ্ন লােপ পায়।
ঙ. সন্ধিতে শব্দের অর্থের কোনাে পরিবর্তন ঘটে না। ঙ. সমাসে শব্দের অর্থের অনেক পরিবর্তন হয়।

সমাসের প্রকারভেদ 

বাংলা ব্যাকরণ অনুযায়ী সমাস আট প্রকার কর্মধারয় সমাস, দ্বন্দ্ব সমাস, তৎপুরুষ সমাস, বহুব্রীহি সমাস, দ্বিগু সমাস, নিত্যসমাস, অলােপ সমাস ও বাক্যাশ্রয়ী সমাস।

কর্মধারয় সমাস 

যে-সমাসের পূর্বপদ সাধারণত পরপদের বিশেষণ হিসেবে থাকে এবং সমাসবদ্ধ পদে পরপদের অর্থই প্রধান হয়, তাকে কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন—পূর্ণ যে চন্দ্র = পূর্ণচন্দ্র, নীল যে আকাশ = নীলাকাশ, উড়াে যে জাহাজ। উড়ােজাহাজ, মহান যে জন = মহাজন।

কর্মধারয় সমাস চার প্রকার – ক. উপমিত কর্মধারয় সমাস, খ. উপমান কর্মধারয় সমাস, গ. রূপক কর্মধারয় সমাস ও ঘ. মধ্যপদলােপী কর্মধারয় সমাস।

ক. উপমিত কর্মধারয় সমাস

যে-কর্মধারয় সমাসের পূর্বপদে উপমেয় (যার সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে) ও উত্তরপদে উপমান থাকে এবং সাধারণ ধর্মের উল্লেখ থাকে না, তাকে উপমিত কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন—পুরুষ সিংহের মতাে = পুরুষসিংহ, নর শার্দুলের মতাে = নরশার্দুল, অধর কমলের মতাে = অধরকমল।

খ. উপমান কর্মধারয় সমাস

যে-কর্মধারয় সমাসের পূর্বপদে উপমান ও উত্তরপদে সাধারণ ধর্ম থাকে, তাকে উপমান কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন—কাজলের মতাে কালাে = কাজলকালাে, তুষারের মতাে শুত্র = তুষারশুভ্র, বকের মতাে ধার্মিক = বকধার্মিক, কুসুমের মতাে কোমল = কুসুমকোমল।

গ. রূপক কর্মধারয় সমাস

যে-কর্মধারয় সমাসে পূর্বপদে উপমেয় ও উত্তরপদে উপমান এবং এদের মধ্যে অভেদ বা অভিন্নতা কল্পনা করা হয়, তাকে রূপক কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন—মন রূপ মাঝি মনমাঝি, আঁখি রূপ পাখি = আঁখিপাখি, প্রাণ রূপ পাখি = প্রাণপাখি, আকাশ রূপ কটাহ = আকাশটাহ।

ঘ. মধ্যপদলােপী কর্মধারয় সমাস

যে-কর্মধারয় সমাসে ব্যাসবাক্যের মধ্যবর্তী এক বা একাধিক পদ লােপ পায়, তাকে মধ্যপদলােপী কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন—সিংহ চিহ্নিত আসন সিংহাসন, পল (মাংস) মিশ্রিত অন্ন = পলান্ন, শহিদ স্মরণে পালিত যে দিবস = শহিদ-দিবস, হাঁটু অবধি জল = হাঁটুজল।

দ্বন্দ্ব সমাস

দ্বন্দ্ব শব্দের অর্থ ‘যুক্ত’। যে-সমাসে ‘ও’ এবং ‘আর’ সংযােজক পদ দিয়ে পূর্বপদ ও উত্তর পদ যুক্ত হয় সমাসবদ্ধ পদে, সংযােজক লুপ্ত হয় এবং উভয় পদের অথই প্রধান হয় তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে। যেমন— মাতা ও পিতা = মাতাপিতা, বর ও বধূ = বরবধু, গুরু ও শিষ্য = গুরুশিষ্য, দিন ও রাত = দিনরাত।

দ্বন্দ্ব সমাস চার প্রকার— ক. সমার্থক দ্বন্দ্ব সমাস, খ. বিপরীতার্থক দ্বন্দ্ব সমাস, গ. একশেষ দ্বন্দ্ব সমাস ও ঘ. বহুপদী দ্বন্দ্ব সমাস।

ক. সমার্থক দ্বন্দ্ব সমাস

দুটি সমান অর্থের পদ সংযােজক অব্যয় পদ দ্বারা যুক্ত হয়ে যে-সমাস হয়, তাকে সমার্থক দ্বন্দ্ব সমাস বলে। যেমন—শাক ও সবজি = শাকসবজি, অন্য ও অন্য অন্যান্য।

খ. বিপরীতার্থক দ্বন্দ্ব সমাস

দুটি বিপরীত অর্থের পদ যখন সংযােজক অব্যয় দ্বারা যুক্ত হয়ে সমাস হয়, তখন তাকে বিপরীতার্থক দ্বন্দ্ব সমাস বলে। যেমন—সুর ও অসুর। সুরাসুর, পাপ ও পূণ্য = পাপপুণ্য।

গ. একশেষ দ্বন্দ্ব সমাস

একাধিক পদ যখন একটি সংযােজক অব্যয় দ্বারা যুক্ত হয়ে সমাস হয়, তখন তাকে একশেষ দ্বন্দ্ব সমাস বলে। যেমন—আমি, তুমি ও সে আমরা, তুমি ও সে = তােমরা।

ঘ. বহুপদী দ্বন্দ্ব সমাস

একাধিক পদ যখন একাধিক সংযােজক অব্যয় দ্বারা যুক্ত হয়ে সমাস হয়, তখন তাকে বহুপদী দ্বন্দ্ব সমাস বলে। যেমন—রাম, লক্ষ্মণ, ভরত ও শত্রুঘ্ন রাম-লক্ষ্মণ-ভরত-শত্রুগ্ন, রূপ, রস, গন্ধ ও স্পর্শ রূপ-রস-গন্ধ-স্পর্শ।

তৎপুরুষ সমাস

যে-সমাসে পূর্বপদের বিভক্তি লােপ পায় এবং পরপদের অর্থ প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমন—কলাকে বেচা = কলাবেচা, দা দিয়ে কাটা = দা-কাটা, রান্নার জন্য ঘর = রান্নাঘর।

তৎপুরুষ সমাস বারাে প্রকার— ক. কর্ম তৎপুরুষ সমাস, খ. করণ তৎপুরুষ সমাস, গ. নিমিত্ত তৎপুরুষ সমাস, ঘ. অপাদান তৎপুরুষ সমাস, ঙ. সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস, চ. অধিকরণ তৎপুরুষ সমাস, ছ, না-তৎপুরুষ সমাস, জ, উপপদ তৎপুরুষ সমাস, ঝ, ব্যাপ্তি তৎপুরুষ সমাস, এ. ক্রিয়াবিশেষণ তৎপুরুষ সমাস, ট. উপসর্গ তৎপুরুষ সমাস ও ঠ, অলােপ তৎপুরুষ সমাস।

ক. কর্ম তৎপুরুষ সমাস

যে-তৎপুরুষ সমাসে পূর্বপদে দ্বিতীয়া বিভক্তি বা কর্মকারকের বিভক্তি লােপ পায়, তাকে কর্ম তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমন—কাপড়কে কাচা = কাপড়কাচা, চরণকে আশ্রিত = চরণাশ্রিত, বধূকে বরণ = বধূবরণ, ঘরকে মােছা = ঘরমােছা।

খ. করণ তৎপুরুষ সমাস

যে-তৎপুরুষ সমাসে পূর্বপদে তৃতীয়া বিভক্তি বা করণকারকের বিভক্তি লােপ পায়, তাকে করণ তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমন—রােগ দ্বারা আক্রান্ত = রােগাক্রান্ত, বাম্প দ্বারা চালিত = বাষ্পচালিত, মেঘ দ্বারা আছেন্ন = মেঘাচ্ছন্ন, দা দিয়ে কাটা দা-কাটা।

গ. নিমিত্ত তৎপুরুষ সমাস 

যে-তৎপুরুষ সমাসে পূর্বপদে চতুর্থী বিভক্তি বা নিমিত্ত কারকের বিভক্তি লােপ পায়, তাকে নিমিত্ত তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমন—তপের নিমিত্ত বন = তপােবন, তীর্থের জন্য যাত্রা = তীর্থযাত্রা, যজ্ঞের নিমিত্ত ঘােড়া = যজ্ঞঘােড়া, ডাকের জন্য মাশুল ডাকমাশুল।

ঘ. অপাদান তৎপুরুষ সমাস

যে-তৎপুরুষ সমাসে পূর্বপদে পঞ্চমী বিভক্তি বা অপাদান কারকের বিভক্তি লােপ পায়, তাকে অপাদান তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমন—মৃত্যু হইতে ভয় = মৃত্যুভয়, রােগ থেকে মুক্ত = রােগমুক্ত, দুর্থ থেকে জাত = দুগ্ধজাত, সত্য থেকে ভ্রষ্ট = সত্যভ্রষ্ট।

ঙ. সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস 

যে-তৎপুরুষ সমাসের পূর্বপদে ‘র’, ‘এ’ প্রভৃতি সম্বন্ধবাচক বিভক্তি থাকে, তাকে সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমন—জগতের জন = জগজ্জন, পরের দোষ = পরদোষ, উৎপত্তির থান = উৎপত্তিস্থান, জন্মের তিথি = জন্মতিথি।

চ. অধিকরণ তৎপুরুষ সমাস

যে-তৎপুরুষ সমাসে পূর্বপদে যষ্ঠী বিভক্তি তথা অধিকরণ কারকের বিভক্তি লােপ পায়, তাকে অধিকরণ তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমন—গৃহে বাস = গৃহবাস, যুদ্ধে শির = যুধিষ্ঠির, ইংরেজিতে শিক্ষিত = ইংরেজিশিক্ষিত, বস্তায় বন্দি = বস্তাবন্দি।

ছ. না-তৎপুরুষ সমাস

নেতিবাচক উপসর্গকে পূর্বপদরূপে স্থাপন করে উত্তরপদ বিশেষ্য বা বিশেষণের সঙ্গে যে-সমাস হয়, তাকে না-তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমন—নায় জ্ঞাত = অজ্ঞাত, নয় সমাপ্ত = অসমাপ্ত, নয় আবিষ্কৃত = অনাবিষ্কৃত, নয় বাক্ = অবাক।

জ. উপপদ তৎপুরুষ সমাস

উপপদ হল সেইসব পদ, যেসব পদের পরে অবস্থিত ধাতুর সঙ্গে কৃৎ প্রত্যয় হয়। এই উপপদের সঙ্গে কৃদন্তপদের যে-সমাস হয়, তাকে উপপদ তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমন—পাঙ্কে জন্মে যা = পঙ্কজ, খনিতে জন্মে যা = খনিজ, মধু পান করে যে = মধুপ, বারি দান করে যে = ৰারিদ।

ঝ. ব্যাপ্তি তৎপুরুষ সমাস

ব্যাপ্তি বা বিস্তৃতি অর্থে যে-তৎপুরুষ সমাস হয়, তাকে ব্যাপ্তি তৎপুরুষ সমাস বলে। বাংলায় ব্যাপ্তি’ শব্দের আলাদা কোনাে বিভক্তি নেই। যেমন—চিরকাল ব্যাপিয়া শত্রু = চিরশত্রু, চিরকাল ব্যাপিয়া হরিৎ = চিরহরিৎ, ক্ষণকাল ব্যাপিয়া স্থায়ী = ক্ষণস্থায়ী, বিশ্ব ব্যাপিয়া যুদ্ধ = বিশ্বযুদ্ধ।

ঞ. ক্রিয়াবিশেষণ তৎপুরুষ সমাস

যে-তৎপুরুষ সমাসে পূর্বপদটি ক্রিয়াবিশেষণ হয় এবং পরপদের অর্থ প্রাধান্য পায়, তাকে ক্রিয়াবিশেষণ তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমন—ঘনরূপে সন্নিবিষ্ট = ঘনসন্নিবিষ্ট, অধরূপে দগ্ধ = অর্ধদগ্ধ।

ট. উপসর্গ তৎপুরুষ সমাস

যে-সমাসের পূর্বপদে বিভিন্ন উপসর্গ (প্র, পরা, উপ, সম, বি প্রভৃতি) যুক্ত হয়, তাকে উপসর্গ তৎপুরুষ সমাস বা প্রাদি (প্ৰ আদি) তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমন—বিশেষরূপে খ্যাত = বিখ্যাত, প্রকৃষ্ট বীর = প্রবীর, বনের সদৃশ = উপবন, নগরের সমীপে = উপনগর।

ঠ. অলােপ তৎপুরুষ সমাস

কোনাে-কোনাে তৎপুরুষ সমাসের ক্ষেত্রে পূর্বপদের বিভক্তি লােপ পায় না, তাকে অলােপ তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমন—কলে ছাঁটা = কলেছাঁটা, মুখে ভাত = মুখে ভাত, হাতে তৈরি = হাতে-তৈরি, তেলে বেগুনে = তেলে-বেগুনে।

বহুব্রীহি সমাস

যে-সমাসে সমস্যমান পদগুলির কোনােটির অর্থ না বুঝিয়ে অন্য কোনাে ব্যক্তি বা বস্তুকে বােঝায়, তাকে বহুব্রীহি সমাস বলে। দি অম্বর যার = দিগম্বর, বীণা পাণিতে যার = বীণাপাণি, বিশাল অক্ষি যার = বিশালাক্ষী, চন্দ্র হয়েছে শেখর যার = চন্দ্রশেখর।

বহুব্রীহি সমাস আট প্রকার— ক. মধ্যপদলােপী বহুব্রীহি সমাস, খ. সমানাধিকরণ বহুব্রীহি সমাস, গ. ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস, ঘ. ব্যধিকরণ বহুব্রীহি সমাস, ৬. সংখ্যাবাচক বহুব্রীহি সমাস, চ. সহাৰ্থক বহুব্রীহি সমাস, ছ, অলােপ বহুব্রীহি সমাস ও জ, নাবাচক বহুব্রীহি সমাস।

ক. মধ্যপদলােপী বহুব্রীহি সমাস

যে-বহুব্রীহি সমাসের মধ্যপদ তথা ব্যাখ্যামূলক পদ লােপ পেয়ে সমাসবদ্ধ পদ গঠিত হয়, তাকে মধ্যপদলােপী বহুব্রীহি সমাস বলে। যেমন—চন্দ্রের মতাে বদন যে-নারীর = চন্দ্রবদনা, চাঁদের মতাে সুন্দর মুখ যার = চাঁদমুখ, স্বর্ণের আভার মতাে আভা যার = স্বর্ণাভ, ক্ষুরের ধারের মতাে ধার যার = ক্ষুরধার।

খ. সমানাধিকরণ বহুব্রীহি সমাস

পূর্বপদে বিশেষণ ও পরপদে বিশেষ্য নিয়ে যে-বহুব্রীহি সমাস গঠিত হয় এবং দুটি পদের বিভক্তি একই থাকে, তাকে সমানাধিকরণ বহুব্রীহি সমাস বলে। যেমন—গৌর অঙ্গ যার = গৌরাঙ্গা, স্বচ্ছ সলিল যার = স্বচ্ছসলিলা, কালাে পাড় যার = কালােপেড়ে, মহৎ আশয় যার = মহাশয়।

গ. ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস

পরস্পর একই ক্রিয়া নিষ্পন্ন করার জন্য যখন কোনাে শব্দ দু-বার ব্যবহৃত হয়ে বহুব্রীহি সমাস গঠন করে, তখন তাকে ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস বলে। [ ব্যতিহার শব্দটির অর্থ পরস্পর।] যেমন—লাঠিতে লাঠিতে যে-যুদ্ধ = লাঠালাঠি, কানে কানে যে-মন্ত্রণা = কানাকানি, চুলে চুলে যে-লড়াই = চুলােচুলি, গলায় গলায় যে ভাব = গলাগলি।

ঘ. ব্যধিকরণ বহুব্রীহি সমাস

দুটি পদই বিশেষ্য কিন্তু তাদের বিভক্তি আলাদা—এমন বহুব্রীহি সমাসকে ব্যধিকরণ বহুব্রীহি সমাস বলে। যেমন—র গর্ভে যার = রত্নগর্ভা, শূল পাণিতে যার = শূলপাণি।

ঙ. সংখ্যাবাচক বহুব্রীহি সমাস

পূর্বপদ সংখ্যাবাচক বিশেষণ এবং পরপদ বিশেষ্য থেকে যে-বহুব্রীহি সমাস গঠিত হয়, তাকে সংখ্যাবাচক বহুব্রীহি সমাস বলে। যেমন—চতুঃ পদ যার = চতুষ্পদ, ত্রি শঙ্কু যার = পঞ্জ আনন যার = পঞ্চানন, ছ-টি ভূজ (বাহু) যার = ষড়ভুজ।

চ. সহাথক বহুব্রীহি সমাস

বিশেষ্যপদের সঙ্গে ‘সহিত’ বাচক পদ বসে যে-বহুব্রীহি সমাস হয়, তাকে সহাথক বহুব্রীহি সমাস বলে। যেমন—স্ত্রীর সহিত বর্তমান = সস্ত্রীক, তৃষ্ণার সহিত বর্তমান = সতৃষ্ণ, পরিবারের সহিত বর্তমান = সপরিবার, লজ্জার সহিত বর্তমান = সলজ্জ।

ছ. অলােপ বহুব্রীহি সমাস

যে-বহুব্রীহি সমাসে পূর্বপদের বিভক্তি লােপ পায় না, তাকে অলােপ বহুব্রীহি সমাস বলে। যেমন— মাথায় পাগড়ি যার = মাথায়-পাগড়ি, পায়ে জুতাে যার = জুতাে-পায়ে, কলশি কাঁখে যার = কলশিকাঁখে, গায়ে হলুদ দেওয়া হয় যে-অনুষ্ঠানে = গায়েহলুদ।

জ. না-বাচক বহুব্রীহি সমাস 

পূর্বপদে না-বাচক অব্যয় যুক্ত হয়ে যে-বহুব্রীহি সমাস হয়, তাকে নাবহুব্রীহি সমাস বলে। যেমন— -নেই লজ্জা যার = নির্লজ্জ, নেই তার যার = বেতার, নেই দয়া যার = নির্দয়, নেই আদি যার = অনাদি ।

দ্বিগু সমাস

যে-সমাসের পূর্বপদ সংখ্যা বিশেষণ, পরপদ সাধারণ বিশেষ্য ও সমাসবদ্ধ পদটিতে পরপদের অর্থ প্রাধান্য পায়, তাকে দ্বিগু সমাস বলে। যেমন—সাত কুলের সমাহার = সাতকুল, তিন সংসারের সমাহার = ত্রিসংসার, দ্বি-প্রহরের সমাহার = দ্বিপ্রহর, চতুঃ দিকের সমাহার = চতুর্দিক।

দ্বিগু সমাস দুই-প্রকার – ক. তদ্ধিতার্থক দ্বিগু সমাস ও খ. সমাহার দ্বিগু সমাস।

ক. তদ্ধিতার্থক দ্বিগু সমাস

যে-দ্বিগু সমাস তদ্ধিত প্রত্যয়ের অর্থ প্রকাশ করে, তাকে তদ্ধিতার্থক দ্বিগু সমাস বলে। যেমন—দুই মাতার সন্তান = দ্বৈমাতুর, দুটি গােরুর বিনিময়ে ক্রীত = দ্বিগু।

খ. সমাহার দ্বিগু সমাস

যে-সমাসে পূর্বপদ সংখ্যাবাচক বিশেষণ এবং উত্তরপদ বিশেষ্য এবং সমাসবদ্ধ পদে সমাহার অর্থ বােঝায়, তাকে সমাহার দ্বিগু সমাস বলে। এখানে উত্তরপদের অর্থই প্রধান। যেমন—নব রত্নের সমাহার = নবরত্ন, তিন মাথার সমাহার = তেমাথা।

নিত্যসমাস

যে-সমাসে সমস্যমান পদগুলি নিত্য অর্থাৎ সর্বদাই সমাসবদ্ধ থাকে, তাকে নিত্যসমাস বলে। এইজন্য এর কোনাে ব্যাসবাক্য হয় না। এতে স্বপদ অর্থাৎ সমাসের নিজের পদ ব্যবহৃত হয় না-বলে এর অন্য নাম অ-স্বপদবিগ্রহ নিত্যসমাস। যেমন— অন্য দেশ = দেশান্তর, কেবল জল = জলমাত্র।

অলােপসমাস

সমাসবদ্ধ পদের বিভক্তি লােপ পাওয়ার কথা। কিন্তু যখন সমাসবদ্ধ পদের বিভক্তি লােপ না-পেয়ে সমাসবদ্ধ পদেই থেকে যায়, তখন তাকে অলােপ (আলােপ লােপ না-পাওয়া) সমাস বলে। তাই আলােপ সমাস কোনাে স্বতন্ত্র সমাস নয়। যে-সমাসেই সমস্যমান পদের বিভক্তি লােপ পায় না, তাকে সেই সমাসের অন্তত অলােপ সমাস বলা হয়। যেমন-তেলে ভাজা = তেলেভাজা।

বাক্যাশ্রয়ী সমাস

বাক্য বা বাক্যাংশ যখন সমাসবদ্ধ পদরূপে ব্যবহৃত হয়, তখন তাকে বাক্যাশ্রয়ী সমাস বলে। যেমন—নবজলধরপটল সংযােগ, বেশ-একটু রােগা গােছের, দশের-ইচ্ছা-বােঝাই করা জীবনখানা।

ব্যাসবাক্যসহ সমাসের কিছু নমুনা

সমাসবদ্ধ পদ ব্যাসবাক্য সমাস
অর্ধমৃত অর্ধভাবে মৃত কর্ম তৎপুরুষ সমাস
মুখেভাত মুখে ভাত দেওয়া হয় যে-অনুষ্ঠানে অলােপ বহুব্রীহি সমাস
বিদেশাগত বিদেশ হইতে আগত অপাদান তৎপুরুষ সমাস
দম্পতি জায়া ও পতি দ্বন্দ্ব সমাস
বৃন্তচ্যুত বৃন্ত হইতে চ্যুত অপাদান তৎপুরুষ সমাস
বিস্ময়াপন্ন বিস্ময়কে আপন্ন কর্ম তৎপুরুষ সমাস
ছায়াতরু ছায়া দানকারী তরু মধ্যপদলােপী কর্মধারয় সমাস
বেগুনভাজা ভাজা যে-বেগুন কর্মধারয় সমাস
অনুকূল কূলের অনুগত উপসর্গ তৎপুরুষ সমাস
চরণাশ্রিত চরণে আশ্রিত অধিকরণ তৎপুরুষ সমাস
দেশান্তর অন্য দেশ নিত্যসমাস
নবরত্ন নব রত্নের সমাহার দ্বিগু সমাস
পাপপুণ্য পাপ ও পুণ্য দ্বন্দ্ব সমাস
চাঁদমুখ চাঁদের মতাে মুখ উপমান কর্মধারয় সমাস
হেডপণ্ডিত হেড যে-পণ্ডিত কর্মধারয় সমাস
মহাপুরুষ মহান যে-পুরুষ কর্মধারয় সমাস
কথামৃত কথা অমৃতের ন্যায় উপমিত কর্মধারয় সমাস
প্রবঞ্চক প্রবঞ্চনা করে যে উপপদ তৎপুরুষ সমাস
মৃগনয়না মৃগের নয়নের ন্যায় নয়ন যার (স্ত্রী) বহুব্রীহি সমাস
গ্রামান্তর অন্য গ্রাম নিত্যসমাস
অগ্নিলীলা অগ্নির লীলা সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস
তেপান্তর তে (তিন) প্রান্তরের সমাহার দ্বিগু সমাস
কালসিন্ধু কাল রূপ সিন্ধু রূপক কর্মধারয় সমাস
অন্যান্য অন্য ও অন্য দ্বন্দ্ব সমাস
অদৃশ্য নয় দৃশ্য না-তৎপুরুষ সমাস
অনুজ অনু (পশ্চাৎ)-তে জন্মগ্রহণ করে যে উপপদ তৎপুরুষ সমাস
অনির্বাণ নাই নির্বাণ যার না-বহুব্রীহি সমাস
অহর্নিশ অহঃ ও নিশি দ্বন্দ্ব সমাস
অষ্টাদশ অষ্ট অধিক দশ মধ্যপদলােপী কর্মধারয় সমাস
আপাদমস্তক পা হইতে মাথা পর্যন্ত ব্যাপ্তি তৎপুরুষ সমাস
আশালতা আশা রূপ লতা রূপক কর্মধারয় সমাস

আমরা

তুমি, আমি ও সে

দ্বন্দ্ব সমাস

ইচ্ছাশক্তি

ইচ্ছা রুপ শক্তি

রুপক কর্মধারয় সমাস

ইন্দ্রজিৎ

ইন্দ্রকে জয় করেছেন যিনি

উপপদ তৎপুরুষ সমাস

উচ্ছিষ্টভােজী

উচ্ছিষ্ট ভােজন করে যে

উপপদ তৎপুরুষ সমাস

কানাকানি

কানে কানে যে-কথা

ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস

কথাবার্তা

কথা ও বার্তা

দ্বন্দ্ব সমাস

কক্ষচ্যুত

কক্ষ হইতে চ্যুত

অপাদান তৎপুরুষ সমাস

কুলবধূ

কুলের বধূ

সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস

কমলকানন

কমলের কানন

সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস

খনিজ

খনিতে জন্মে যাহা

উপপদ তৎপুরুষ সমাস

গরমিল

মিলের অভাব

উপসর্গ তৎপুরুষ সমাস

গিরিশ

গিরিতে শয়ন করেন যিনি

উপপদ তৎপুরুষ সমাস

চন্দ্রকলা

চন্দ্রের কলা

সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস

চিরশত্রু

চির কালীন শত্রু

মধ্যপদলােপী কর্মধারয় সমাস

জমাখরচ

জমা ও খরচ

দ্বন্দ্ব সমাস

দ্বীপান্তর

অন্য দ্বীপ

নিত্যসমাস

দেবর্ষি

যিনি দেব তিনিই ঋষি

কর্মধারয় সমাস

দরদাম

দর ও দাম

দ্বন্দ্ব সমাস

নির্লজ্জ নাই লজ্জা যার

না-বহুব্রীহি সমাস

নিরাশ নাই আশ যার

না-বহুব্রীহি সমাস

নামাঙ্কিত

নাম দ্বারা অঙ্কিত

করণ তৎপুরুষ সমাস

নীতিশিক্ষা

নীতিবিষয়ক শিক্ষা

মধ্যপদলােপী কর্মধারয় সমাস

পদ্মালয়া

পদ্ম আলয় যার (স্ত্রী)

বহুব্রীহি সমাস

পঙ্কজ

পঙ্কে জন্মে যা

উপপদ তৎপুরুষ সমাস

পলান্ন

পল মিশ্রিত অন্ন

মধ্যপদলােপী কর্মধারয় সমাস

পথেঘাটে

পথে ও ঘাটে

দ্বন্দ্ব সমাস

প্রতিদিন

দিন দিন

উপসর্গ তৎপুরুষ সমাস

বজ্রাঘাত

বজ্ৰ দ্বারা আঘাত

করণ তৎপুরুষ সমাস

ব্যর্থ

বিগত হয়েছে অর্থ যার

বহুব্রীহি সমাস

ভাব-উচ্ছাস

ভাবের উচ্ছ্বাস

সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস

মহারাজ

মহান যে রাজা

কর্মধারয় সমাস

মহাবীর

মহান যে বীর

কর্মধারয় সমাস

মেঘেঢাকা

মেঘ দ্বারা ঢাকা

করণ তৎপুরুষ সমাস

রাজপথ

পথের রাজা

সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস

রাজবিদ্রোহী

রাজার প্রতি বিদ্রোহ করে যে

উপপদ তৎপুরুষ সমাস

রাজহংস হংসের রাজা

সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস

রাজ্যান্তর

অন্য রাজ্য

নিত্যসমাস

শরশয্যা

শর নির্মিত শয্যা

মধ্যপদলােপী কর্মধারয় সমাস

শােকাগ্নি

শােক রূপ অগ্নি

রূপক কর্মধারয় সমাস

শিশুসাহিত্য

শিশুদের নিমিত্ত সাহিত্য

নিমিত্ত তৎপুরুষ সমাস

স্বেচ্ছা

স্ব-এর ইচ্ছা

সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস

স্থানান্তরে

অন্য স্থান

নিত্যসমাস, সেখানে

সজল

জলের সহিত বর্তমান

সহাৰ্থক বহুব্রীহি সমাস

সিংহশিশু

সিংহীর শিশু

সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস

হৃদয়মন্দির

হৃদয় রূপ মন্দির

রূপক কর্মধারয় সমাস

হাতছানি

হাত দিয়ে ছানি (ইশারা)

করণ তৎপুরুষ সমাস

মনমাঝি

মন রূপ মাঝি

রূপক কর্মধারয় সমাস

অমানুষ

নয় মানুষ যে

না-তৎপুরুষ সমাস

হিতাহিত

হিত ও অহিত

দ্বন্দ্ব সমাস

প্রতিবাদ

বাদের বিপরীত

উপসর্গ তৎপুরুষ সমাস

অষ্টাদশ

অষ্ট অধিক দশ

মধ্যপদলােপী কর্মধারয় সমাস

বিমাতা

বিরুদ্ধ মাতা

উপসর্গ তৎপুরুষ সমাস

ভিক্ষান্ন

ভিক্ষা লব্ধ অন্ন

মধ্যপদলােপী কর্মধারয় সমাস

অনাদি

নেই আদি যার

না-বহুব্রীহি সমাস

বিখ্যাত

বিশেষরূপে খ্যাত যিনি

বহুব্রীহি সমাস

দ্বন্দ্বমধুর

দ্বন্দ্ব অথচ মধুর

কর্মধারয় সমাস

পিতামাতা

পিতা ও মাতা

দ্বন্দ্ব সমাস

পঞ্চবটী

পঞ্চ বটের সমাহার

দ্বিগু সমাস

প্রাণপাখি

প্রাণ রূপ পাখি

রূপক কর্মধারয় সমাস

বেদনাহত

বেদনা দ্বারা হত

করণ তৎপুরুষ সমাস

নীলপদ্ম

নীল যে-পদ্ম

কর্মধারয় সমাস

অবাক

নেই বাক্ যার

না-বহুব্রীহি সমাস

বীণাপাণি

বীণা পাণিতে যাহার

বহুব্রীহি সমাস

নিরুপমা

নেই উপমা যে-নারীর

না-বহুব্রীহি সমাস

মন্বন্তর

অন্য মনু

নিত্যসমাস

কাঁচামিঠে

কাঁচা অথচ মিঠে

সাধারণ কর্মধারয় সমাস

বৃন্তচ্যুত

বৃন্ত হইতে চ্যুত

অপাদান তৎপুরুষ সমাস

রােগাক্রান্ত

রোগ দ্বারা আক্রান্ত

করণ তৎপুরুষ সমাস

অনুকূল

কুলের সমীপে

উপসর্গ তৎপুরুষ সমাস

দশানন

দশ আনন (মাথা) যার

সংখ্যাবাচক বহুব্রীহি সমাস

পথপ্রদর্শক

পথ প্রদর্শন করেন যিনি

উপপদ তৎপুরুষ সমাস

ক্ষুদ্রমতি

ক্ষুদ্র মতি যার

বহুব্রীহি সমাস

নীরদ

নীর দান করে যে

উপপদ তৎপুরুষ সমাস

মিঠেকড়া

মিঠে অথচ কড়া

সাধারণ কর্মধারয় সমাস

সমাস PDF File | সমাস eBook

If you want the above content about “সমাস”, you can download PDF file. Click here to download সমাস PDF File.

Read Also

সন্ধি বিচ্ছেদ | বাংলা ব্যাকরণ

সমাসের কিছু উদাহরণ

  • অর্ধমৃত ব্যাসবাক্য : অর্ধভাবে মৃত
    অর্ধমৃত সমাস : কর্ম তৎপুরুষ সমাস
  • অষ্টাদশ ব্যাসবাক্য : অষ্ট অধিক দশ
    অষ্টাদশ সমাস : মধ্যপদলােপী কর্মধারয় সমাস
  • ইন্দ্রজিৎ ব্যাসবাক্য : ইন্দ্রকে জয় করেছেন যিনি
    ইন্দ্রজিৎ সমাস : উপপদ তৎপুরুষ সমাস
  • গুরুশিষ্য ব্যাসবাক্য : গুরু ও শিষ্য
    গুরুশিষ্য সমাস : সমার্থক দ্বন্দ্ব সমাস
  • ছায়াতরু ব্যাসবাক্য : ছায়া দানকারী তরু
    ছায়াতরু সমাস : মধ্যপদলােপী কর্মধারয় সমাস
  • দম্পতি ব্যাসবাক্য : জায়া ও পতি
    দম্পতি সমাস : দ্বন্দ্ব সমাস
  • বকধার্মিক ব্যাসবাক্য : বকের মতাে ধার্মিক
    বকধার্মিক সমাস : উপমান কর্মধারয় সমাস
  • বিশালাক্ষী ব্যাসবাক্য : বিশাল অক্ষি যার
    বিশালাক্ষী সমাস : সমানাধিকরণ বহুব্রীহি সমাস
  • মধুপ ব্যাসবাক্য : মধু পান করে যে
    মধুপ সমাস : উপপদ তৎপুরুষ সমাস
  • শূলপাণি ব্যাসবাক্য : শূল পাণিতে যার
    শূলপাণি সমাস : ব্যধিকরণ বহুব্রীহি সমাস

Leave a Comment

Scroll to Top